
নিজস্ব প্রতিবেদক,
সভাপতির বক্তব্যে বাউফল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর হচ্ছে ইসলাম। তিনি বলেন, “বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ইসলামের বিকল্প অন্য কিছু নাই এবং থাকতে পারে না। মানব রচিত আইনে গত ৫৩ বছর বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে কিন্তু সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হয়নি। বরং সমাজের স্তরে স্তরে বৈষম্যের বেড়াজাল সৃষ্টি হয়েছে।”
ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় আগামীর বাংলাদেশে সাড়ে ৪ লাখ মানুষের বাউফল হবে এক পরিবার, যেখানে ধর্মের কোন বিভাজন থাকবে না। সকলেই নাগরিক মর্যাদায় এক পরিবারের সদস্য হবে। ব্যক্তির সংস্কার ব্যতিত রাষ্ট্রের সংস্কার সমাজে সুফল আসবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এজন্য বাউফল ফাউন্ডেশন ব্যক্তির সংস্কার করে আদর্শিক ও চরিত্রবান মানবিক মানুষ হিসেবে গড়তে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, বাউফল ফাউন্ডেশন সত্যিকার অর্থে গুণীজনদের সম্মাননার আয়োজন করেছে যেখানে কোন দলমত, ধর্মবর্ণের বিচার করা হয়নি। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ গুণিজনদের সম্মান না দিয়ে দলীয় চোর-ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের গুণিজন সাজিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করেছে। রাষ্ট্রের একজন গুণীজনও আওয়ামী লীগের শাসনামলে সম্মাননা পায়নি।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ উল্লেখ করেন, আগামীর বাংলাদেশ গুনীজনদের দ্বারা পরিচালিত হবে। আসন্ন নির্বাচনে গুণিজনদের ভোট দিবেন নাকি চোর-ডাকাতকে ভোট দিবেন সেটা বাউফল বাসীকেই ঠিক করতে হবে। এমন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করুন যিনি আপনার প্রতিনিধিত্ব করবেন, আপনার শাসক হবেন না। যিনি জনগণের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করবেন না। তাই তিনি আল্লাহ ভীরু ব্যক্তিকে বাউফল বাসীর নেতৃত্বের জন্য নির্বাচিত করতে আহ্বান জানান।
বাউফল ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেড় শতাধিক কৃতি শিক্ষার্থী, জুলাই বিপ্লবে ৬ শহীদ পরিবার ও বাউফল উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ২১ গুণীজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ উপহার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন সংবর্ধিত সকলের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।