শিরোনাম:-কে এই সাঈদী

এক. সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, ১৯৪০ সালের ২ রা ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালি গ্রামের বালিপাড়া ইউনিয়নে একজন নবজাতক শিশুর জন্ম হয়।যার নাম রাখা হয় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।ওনারা তিন ভাই , এক বোন। ভাই-বোন সকলের বড় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সাঈদী সাহেবের সম্মানিত পিতার নাম মাওলানা ইউসুফ সাঈদী। মাওলানা ইউসুফ সাঈদী তৎকালীন সময়ের একজন প্রসিদ্ধ ইসলামী চিন্তাবিদ ও বক্তা ছিলেন।মাওলানা ইউসুফ সাঈদী ভারতের সুনামধন্য দরবার শরীফ, ফুরফুরা দরবার শরীফের সম্মানিত পীর হজরত মাওলানা মরহুম আবু জাফর সিদ্দিক আল কুরাইশী (রঃ) এর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের খলিফাও ছিলেন। মাওলানা ইউসুফ সাঈদী ১৯৮৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী ইন্তেকাল করেন। আল্লামা সাঈদীর মহিয়সী মায়ের নাম বেগম গুলনাহার ইউসুফ সাঈদী। ওনি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ার চরখালির বিখ্যাত কাজি বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন। ২০১২ সালের ২৭ অক্টোবর ওনার জ্যেষ্ঠ পুত্র আল্লামা সাঈদীর কারাবরনের শোক বুকে নিয়ে বাদ মাগরীব আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।

পর্ব দুই
এম.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী

দুই.
আল্লামা  দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী শিশুকাল থেকেই নম্র, ভদ্র ও শান্ত মস্তিষ্কের অধিকারী ছিলেন।শিশুকালেই আল্লামা সাঈদীর মাঝে ফুটে উঠে ভিন্ন  প্রতিভা । বড়দের প্রতি হয়ে ওঠেন শ্রদ্ধা ও  ছোটদের প্রতি স্নেহশীল। শিক্ষকদের প্রতি ছিল  আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন  সাঈদীর অসাধারণ ব্যাবহার। আল্লামা সাঈদীর ব্যাবহার এ যুগের মুসলিম উম্মাহর জন্য হাতে কলমের শিক্ষা। যে শিক্ষা গ্রহন করা প্রতিটি মানুষের ঈমানি দায়িত্ব।

কারণ আল্লাহ নবুয়তের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন।কিন্তু শিক্ষার জন্য রেখে গিয়েছেন আল্লাহ প্রদত্ত চিরন্তন সত্যের বানী পবিত্র কুরআনুল কারীম এবং রাসুলে করিম (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরামদের আদর্শে গাঁথা হাদিস সমূহ। আল্লাহর রাসুল প্রীয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরামগনের মৃত্যুর পর-পরেই আলেম উলামাদের যুগ এসেছে।আলেম উলামারা হচ্ছে নবী রাসুলদের ওয়ারিশ।ওনারা কুরআন ও হাদিস গবেষণা করে জাতি -কে যদি কোনো সঠিক পথে চলার উপদেশ দেন,সেই উপদেশ গ্রহণ করা প্রতিটি মানুষের জন্য ফরজ। কারন আলেম উলামারা কুরআন হাদিসের আলোকে যে উপদেশ দেন তা ওনাদের মনগড়া কোনো উপদেশ নয়,আল্লাহ প্রদত্ত রাসুল (সাঃ) এর উপর অর্পিত দায়িত্ববোধ থেকেই আলেম উলামারা উপদেশ দিয়ে থাকেন।আর উনারা যা করেন তা কুরআন ও হাদিসের আলোকেই করে থাকেন।যার কারনে আলেম উলামাদের দেখেও শিক্ষা গ্রহণ করা ঈমানি দায়িত্ব।

তিন.
আল্লামা সাঈদীর শিক্ষা জীবনঃ-
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী এবং ভিন্ন বিষয়ের ছাত্র। আল্লামা সাঈদি কে আল্লাহ তায়ালা যে জ্ঞান দান করেছেন,সত্যিকার অর্থে সেই জ্ঞান আল্লাহ প্রদত্ত।আল্লামা সাঈদীর জ্ঞানের আলোকে আলোচনা করার মতো যোগ্যতা আমার নেই।তবে ওনার শিক্ষা  জীবন নিয়ে যাচাই করে যে তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে, সেই তথ্যের আলোকে ওনি ওনার  পিতার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেছেন। পরবর্তীতে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় কিছুদিন এবং  ১৯৬২ সালে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ করেন। কামিল পাশ করার পর ওনি বসে থাকেন নি, দীর্ঘ ৫ বছর গবেষণার কাজে নিজের সময়কে অতিবাহিত করেছেন।গবেষণা করেছেন  বিভিন্ন ভাষা, ধর্ম, বিজ্ঞান , রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্র নীতি ,মনোবিজ্ঞান ও বিভিন্ন তথ্যের  উপর। সবশেষে  একটা কথাই স্পষ্ট প্রমানিত, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার প্রীয় বান্দার শ্রম এবং চেষ্টা কে পছন্দ করেছেন।এবং ওনার প্রতি খুশি হয়ে আল্লাহ তায়ালার দ্বীন প্রচারের জন্য মনোনীত করেছেন,যা শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ইতিহাস হিসেবে প্রমান রেখে যায়।এক. সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, ১৯৪০ সালের ২ রা ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালি গ্রামের বালিপাড়া ইউনিয়নে একজন নবজাতক শিশুর জন্ম হয়।যার নাম রাখা হয় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।ওনারা তিন ভাই , এক বোন। ভাই-বোন সকলের বড় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সাঈদী সাহেবের সম্মানিত পিতার নাম মাওলানা ইউসুফ সাঈদী। মাওলানা ইউসুফ সাঈদী তৎকালীন সময়ের একজন প্রসিদ্ধ ইসলামী চিন্তাবিদ ও বক্তা ছিলেন।মাওলানা ইউসুফ সাঈদী ভারতের সুনামধন্য দরবার শরীফ, ফুরফুরা দরবার শরীফের সম্মানিত পীর হজরত মাওলানা মরহুম আবু জাফর সিদ্দিক আল কুরাইশী (রঃ) এর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের খলিফাও ছিলেন। মাওলানা ইউসুফ সাঈদী ১৯৮৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী ইন্তেকাল করেন। আল্লামা সাঈদীর মহিয়সী মায়ের নাম বেগম গুলনাহার ইউসুফ সাঈদী। ওনি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ার চরখালির বিখ্যাত কাজি বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন। ২০১২ সালের ২৭ অক্টোবর ওনার জ্যেষ্ঠ পুত্র আল্লামা সাঈদীর কারাবরনের শোক বুকে নিয়ে বাদ মাগরীব আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।