
নিজস্ব প্রতিবেদক,
ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে খালেদা জিয়ার কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে যাওয়ার দৃশ্যটা আমি কোনদিন ভুলবো না।
একটা দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধানের স্ত্রী, সাবেক ফার্স্ট লেডি এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে এভাবে সবার চোখের সামনে হেনস্থা করা যায়, আমি কল্পনাও করতে পারিনি কোনদিন।
মনে পড়ে, খালেদা জিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, আমি কোথায় যাবো? কী করবো? আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। আল্লাহ সবই দেখছেন।
শুনলাম ১৪ বছর পর খালেদা জিয়া আবার ক্যান্টনমেন্টে যাবেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অতিথি হয়ে।
এই দৃশ্যটা দেখার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি।
জুলুম করে ডাইনিটা ভেবেছিল সে জিতে গেল। অথচ সেই ডাইনিটাকে এদেশের মানুষ দেশেই থাকতে দেয় নাই।
খালেরা জিয়া এখনও আছেন এই দেশের মানুষের মনে, শ্রদ্ধায় এবং ভালোবাসায়।
আল্লাহ তাআলাও সবই দেখেছিলেন, খালেদা জিয়ার ফরিয়াদ শুনেওছিলেন।
আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন, যাকে ইচ্ছা অসম্মানিত করেন, এরচে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে?
এতো টাকা, এতো ক্ষমতা, এতো খুন করেন সম্মান তো পাইলেন না। অথচ আরেকজন মজলুম হয়ে,সব হারিয়ে, দিনশেষে সম্মানটা ঠিকই পাইয়া গেল।
পোয়েটিক জাস্টিস এরচে চমৎকার উদাহরণ আর কী হতে পারতো?